Saidur Trainer 2 years ago |
অনেকেরই ধারনা ওষুধ খেলেই সুস্থ হয়ে যাব, যা মোটেও ঠিক নয়। কারণ ভুল নিয়মে ওষুধ গ্রহণের ফলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়।
তাই ওষুধ গ্রহণের সময় চারটি নিয়ম মেনে চলা খুবই জরুরি।
প্রতিদিন ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশিত ওষুধ একই মাত্রায় একই সময় গ্রহণ করতে হবে।
কোনো বেলার ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না, বা অর্ধেক খাওয়া যাবে না।
ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশিত সময় বা কাল পর্যন্ত ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। নিজে থেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। অনেকে একটু ভালো বোধ করলে অ্যান্টিবায়োটিক বা প্রেশারের ওষুধ বা ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ নিজে থেকে বন্ধ করেন, যা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে।
অন্য ব্যক্তির জন্য ব্যবস্থাপত্র দেওয়া ওষুধ গ্রহণ করা যাবে না। ডাক্তারের নির্দেশমতো ওষুধ গ্রহণ খুব জরুরি।
ব্যথার ওষুধ গ্রহনের নিয়ম: ব্যথা কমানোর ওষুধ দীর্ঘদিন গ্রহণে কিডনি আর লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি কিডনি বিকলও হয়ে যেতে পারে। তাই প্যারাসিটামল বেশি খাওয়ার চেয়ে ব্যথা সহ্য করা উত্তম। আর যদি বাধ্য হয়ে খেতেই হয়, তবে তা ভরা পেটে খাওয়াই ভালো।
পানি দিয়ে ওষুধ গ্রহণ: অনেকেই পানি ছাড়া শুধু ওষুধ গ্রহন করে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া অনেকে চা বা জুসের সঙ্গে ওষুধ সেবন করেন যা ক্ষতিকর। চায়ে আছে ক্যাফেইন, ট্যানিন তাই এসব রাসায়নিক ওষুধের সঙ্গে মিলে ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় আর জুসের সঙ্গে খেলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে। এছাড়া এভাবে ওষুধ গ্রহণ করলে শরীরের ওষুধ শুষে নেওয়ার ক্ষমতাও কমে যায়। তাই জুস খেতে হলে ওষুধ গ্রহণের আগে বা পরে পান করতে হবে। ওষুধের সঙ্গে নয়। আর ওষুধ সব সময় স্বাভাবিক পানিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ গ্রহণের সময় আরও যা যা করণীয়:
খাওয়ার অন্তত ১০ মিনিট আগে ওষুধ খেতে হবে। দুই মিনিট আগে নয়।
অনেকে একটু সুস্থ বোধ করলে ওষুধ ছেড়ে দেন, কিন্তু এতে ভয়ানক ক্ষতি হয়। জীবাণু দুর্বল হলে ভালো বোধ করে মানুষ। এর অর্থ এই নয় যে, শরীর সুস্থ হয়েছে। এতে যে ক্ষতি হয় তা হলো জীবাণু হয়ে উঠে ওষুধ প্রতিরোধী। পরে এর সংক্রমণ হলে সেই ওষুধে কাজ হয় না। তাই কোর্স সম্পূর্ণ করতেই হবে।
ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খালি পেটে খাওয়া যাবে না। ভরপেটে খেতে হবে।
ওষুধের উপকারীতা পরোপুরি পেতে হলে সবাইকে ওষুধ গ্রহণের এই নিয়মগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
Alert message goes here